একটি মশা-বাহিত রোগ হল ডেঙ্গু। অতীতের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে অনেকে। ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। তাই ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো জেনে রাখা জরুরী।
- ডেঙ্গুতে প্রথমে প্রচন্ড জ্বর হবে। ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রির উপরে।
- মৌসুমি জ্বরে প্রথমে ঠান্ডা, সর্দি – কাশি থাকে। তবে ডেঙ্গুতে সাধারনত প্রথমে সর্দি-কাশি থাকে না।
- প্রচন্ড পেট ব্যথা
- নাক বা মারি থেকে রক্ত বের হওয়া
- প্রস্রাব বা পায়খানার সাথে রক্ত বের হওয়া
- মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা
- চোখের পিছনে ব্যথা
- বমিভাব বা বমি করা
- ক্লান্তি
- বেশি বেশি শ্বাস – প্রশ্বাস
# ডেঙ্গু জ্বরে করণীয়ঃ
১/ ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে অধিক পরিমানে তরল খাবার খেতে দিন। বিভিন্ন ফলের জুস, ডাবের পানি এ সময় বেশি বেশি খাওয়ান। স্যুপও খেতে পারে।
২/ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
৩/ নাক বা মারি / প্রস্রাব বা পায়খানার সাথে রক্ত / রক্তের ছাপ দেখলে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
# ঘরোয়াভাবে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকারঃ
১/ নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে মশা কামড়ানোর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
২/ আপনার ঘর বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
৩/ বৃষ্টির পানি বা টপে পানি জমে থাকলে ফেলে দিন,,সপ্তাহে একবার হলেও বাড়ির চারপাশে ভালো করে পরিষ্কার করুন, কোথাও জল জমে আছে কিনা,, কারণ জলে মশা বংশবিস্তার করে।
৪/ কিছুদিন শরীর ঢাকা থাকে এমন জামা পড়ুন। লম্বা হাতের জামা, শার্ট,প্যান্ট। পা ডেকে থাকার জন্য মৌজা,, জুতা পড়ুন।
৫/ এডিস মশা সাধারণত ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সময়ে আক্রমণ করে। তাই এই সময়ে সাবধানে থাকতে হবে।
৬/ ঘুমানোর সময় মশারী লাগিয়ে ঘুমান,,, আর মশারীর ভেতর যেন মশা না থাকে সেটি ভালোভাবে লক্ষ্য রাখুন।।
৭/ মশার বিস্তার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন।